মাহমুদুল হাসান, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ সহায় সম্বলহীন নিরাশ্রয় সেই বৃদ্ধা গীতা রানীকে চিকিৎসা শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন।
জানা যায়, গত ১০ জুলাই সাপাহার উপজেলার পাগলার মোড় নামক স্থানে একটি পরিত্যক্ত গোডাউন ঘর থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পরিচয়হীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন গীতা রানীকে। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এসময় তাঁর অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব নেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন।
এরই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থ গীতা রানীর দেখভালের জন্য নিয়োজিত করেন স্থানীয় একজন মহিলাকে। এরপর ১৯ দিন যাবৎ চিকিৎসা শেষে ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার গীতা রানী রাজি হলে তাকে নওগাঁয় সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা)তে পাঠানো হয়। তার থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসাসহ একটি নিরাপদ আশ্রয় ও সুন্দর ভাবে জীবন যাপনের লক্ষ্যে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন। সহায় সম্বলহীন অসুস্থ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে নতুন ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়ে একটি মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলে জানান স্থানীয় অনেকেই। যাতে করে নিরাপদ স্থানে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ভালভাবে কাটানোর একটা সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত হলো গীতা রানীর।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন এলকায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর সঠিক নাম পরিচয় কেউ জানাতে পারেনি। তবে, গীতা রানী নামেই তাকে এলাকার লোক জানতেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিটি জেলায় করে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) রয়েছে। সেখানে সরকারি ভাবে ছোট বালিকাদের সাথে ১০ জন করে বয়স্কাদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। নওগাঁয় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি সেখানে ১০ জনের কম আছে। এ কারনে গীতা রানীকে সেখানে রাখতে পারার সুযোগ হয়েছে।